ঢাকা , বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছে এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপির আপত্তিতে ক্ষোভ জামায়াতের — আরপিও সংশোধনী বহাল রাখার দাবি কৃষিজমি গিলে নিচ্ছে আবাসন, বিলুপ্তির পথে পাখি চট্টগ্রামে মেয়রের ব্যানার সরানো নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত, আহত ৮ ঢাকা আদালতে ভূমি দখল সংক্রান্ত নতুন আদেশ: প্রতিবেদনের নির্দেশ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা তাণ্ডব বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় — জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বিতর্কিত ব্যক্তিদের থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: আমীর খসরুজেটিভি নিউজ বাংলা গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ : আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাভারে “আফজাল সন্দেশে” ভয়াবহ ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন — ময়লা, দূর্গন্ধ ও রাসায়নিকে তৈরির অভিযোগ

ঘুম থেকে আর উঠা হলোনা রবার্ট রেডফোর্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

জেটিভি হলিউড নিউজ বাংলা

ডেস্ক নিউজ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা ও নির্মাতা রবার্ট রেডফোর্ড। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে ইউটাহর বাড়িতে তিনি মারা যান। ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে চলে যান ৮৯ বছর বয়সি এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

লস এঞ্জেলেস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়

পাবলিসিটি ফার্ম রজার্স অ্যান্ড কাউয়ান পিএমকের সিইও সিন্ডি বার্জারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। তবে তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি।

বার্জার বলেন, রবার্ট রেডফোর্ড আজ ইউটাহের পর্বতের মধ্যে অবস্থিত সানড্যান্সে তার প্রিয় আবাস্থলে মৃত্যুবরণ করেছেন। জায়গাটি তিনি ভীষণ ভালোবাসতেন। সেখানে তার প্রিয়জনরা উপস্থিত ছিলেন।

‎রবার্ট রেডফোর্ড ১৯৬৯ সালে হিপি ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র ‘বাচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড’-এ পল নিউম্যানের সঙ্গে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। অভিনয়ে ২০ বছর পার করার পর তিনি ক্যামেরার পেছনে যান এবং অস্কারজয়ী পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পান।

‎যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব ‘সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব’-এর প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন রেডফোর্ড। প্রকৃতিপ্রেমী এবং পরিবেশবাদী এই অভিনেতা ইউটাহের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণের জন্যও লড়েছেন

রবার্ট চার্লস রেডফোর্ড জুনিয়র ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন একাউন্ট্যান্টের সন্তান ছিলেন।

‎রেডফোর্ডের প্রথম স্ত্রী লোলা ভ্যান ওয়াগেননের পক্ষে তার চার সন্তান জন্ম নেয়। তাদের মধ্যে একজন শিশু অবস্থায় মারা যায়। ২০০৯ সালে তিনি জার্মান শিল্পী এবং দীর্ঘদিনের বান্ধবী সিবিলি জাগার্সের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

‎বিশ্বব্যাপী ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রে সুপরিচিত নাম রেডফোর্ড ১৯৮০ সালে ‘অর্ডিনারি পিপল’ সিনেমাটির জন্য সেরা পরিচালকের অস্কার জেতেন। ২০০২ সালের অস্কারের আসরে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

সে বছর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানসূচক অস্কার প্রদানকালে মার্কিন অভিনেত্রী বার্বরা স্ট্রেইস্যান্ড বলেন, ‘অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে রবার্ট রেডফোর্ডের কাজ সবসময় তার নিজের প্রতিচ্ছবি বহন করে। তিনি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং কাওবয়।’

রেডফোর্ডের সবচেয়ে প্রিয় চরিত্রগুলোর একটি ছিল ১৯৭৬ সালের ক্লাসিক আমেরিকান রাজনৈতিক থ্রিলার ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান’ চলচ্চিত্রে। দুই সাংবাদিক কীভাবে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উদঘাটন করেন, সিনেমাটিতে সেটাই তুলে ধরা হয়।

‘দ্য স্টিং’ (১৯৭৩)-এ ১৯৩০-এর দশকে প্রতারক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রেডফোর্ড একমাত্র সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পান।

‎উদার ও পরিবেশপ্রেমী এ তারকার অন্যতম অর্জন ১৯৮৫ সালে স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব ‘সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব’ চালু করা।

‎হলিউডের বাণিজ্যিক এবং বৈচিত্র্যের অভাবের কারণে বিরক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এটি শুরু করা হয় এবং এতে জিম জারমুশ, কুইন্টিন তারান্টিনো ও স্টিভেন সোডারবার্গের মতো প্রধান স্বাধীন পরিচালকরা বিকশিত হন।

ট্যাগস

জনপ্রিয় সংবাদ

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছে এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

ঘুম থেকে আর উঠা হলোনা রবার্ট রেডফোর্ড

আপডেট সময় ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জেটিভি হলিউড নিউজ বাংলা

ডেস্ক নিউজ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা ও নির্মাতা রবার্ট রেডফোর্ড। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে ইউটাহর বাড়িতে তিনি মারা যান। ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে চলে যান ৮৯ বছর বয়সি এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

লস এঞ্জেলেস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়

পাবলিসিটি ফার্ম রজার্স অ্যান্ড কাউয়ান পিএমকের সিইও সিন্ডি বার্জারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। তবে তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি।

বার্জার বলেন, রবার্ট রেডফোর্ড আজ ইউটাহের পর্বতের মধ্যে অবস্থিত সানড্যান্সে তার প্রিয় আবাস্থলে মৃত্যুবরণ করেছেন। জায়গাটি তিনি ভীষণ ভালোবাসতেন। সেখানে তার প্রিয়জনরা উপস্থিত ছিলেন।

‎রবার্ট রেডফোর্ড ১৯৬৯ সালে হিপি ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র ‘বাচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড’-এ পল নিউম্যানের সঙ্গে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। অভিনয়ে ২০ বছর পার করার পর তিনি ক্যামেরার পেছনে যান এবং অস্কারজয়ী পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পান।

‎যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব ‘সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব’-এর প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন রেডফোর্ড। প্রকৃতিপ্রেমী এবং পরিবেশবাদী এই অভিনেতা ইউটাহের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণের জন্যও লড়েছেন

রবার্ট চার্লস রেডফোর্ড জুনিয়র ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন একাউন্ট্যান্টের সন্তান ছিলেন।

‎রেডফোর্ডের প্রথম স্ত্রী লোলা ভ্যান ওয়াগেননের পক্ষে তার চার সন্তান জন্ম নেয়। তাদের মধ্যে একজন শিশু অবস্থায় মারা যায়। ২০০৯ সালে তিনি জার্মান শিল্পী এবং দীর্ঘদিনের বান্ধবী সিবিলি জাগার্সের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

‎বিশ্বব্যাপী ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রে সুপরিচিত নাম রেডফোর্ড ১৯৮০ সালে ‘অর্ডিনারি পিপল’ সিনেমাটির জন্য সেরা পরিচালকের অস্কার জেতেন। ২০০২ সালের অস্কারের আসরে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

সে বছর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানসূচক অস্কার প্রদানকালে মার্কিন অভিনেত্রী বার্বরা স্ট্রেইস্যান্ড বলেন, ‘অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে রবার্ট রেডফোর্ডের কাজ সবসময় তার নিজের প্রতিচ্ছবি বহন করে। তিনি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং কাওবয়।’

রেডফোর্ডের সবচেয়ে প্রিয় চরিত্রগুলোর একটি ছিল ১৯৭৬ সালের ক্লাসিক আমেরিকান রাজনৈতিক থ্রিলার ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান’ চলচ্চিত্রে। দুই সাংবাদিক কীভাবে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উদঘাটন করেন, সিনেমাটিতে সেটাই তুলে ধরা হয়।

‘দ্য স্টিং’ (১৯৭৩)-এ ১৯৩০-এর দশকে প্রতারক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রেডফোর্ড একমাত্র সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পান।

‎উদার ও পরিবেশপ্রেমী এ তারকার অন্যতম অর্জন ১৯৮৫ সালে স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব ‘সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব’ চালু করা।

‎হলিউডের বাণিজ্যিক এবং বৈচিত্র্যের অভাবের কারণে বিরক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এটি শুরু করা হয় এবং এতে জিম জারমুশ, কুইন্টিন তারান্টিনো ও স্টিভেন সোডারবার্গের মতো প্রধান স্বাধীন পরিচালকরা বিকশিত হন।